রাজ কাপুর স্টুডিওতে আগুন
ভারতের মুম্বাইতে রাজ কাপুর (আর কে) স্টুডিওতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে ডিএনএ ইন্ডিয়া। পরে বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ‘আগ’, ‘বারসাত’, ‘আওয়ারা’, ‘শ্রী ৪২০’, ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহেতি’, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘ববি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘রাম তেরি গঙ্গা মাইলি’সহ বলিউডের অনেক ব্যবসা সফল ছবির শুটিং হয়েছে স্বনামধন্য রাজ কাপুর বা আর কে স্টুডিওতে। ভারতের স্বাধীনতার এক বছর পর স্থাপিত হয় স্টুডিওটি।
অগ্নিকাণ্ডে স্টুডিওর প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মুম্বাই ফায়ার সার্ভিসের প্রধান পিএস রাহাংডালে জানান, বিকেলের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের জায়গাটিকে শীতল করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কেউ আহত হয়নি বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ছয়টি গাড়ি এবং পাঁচটি পানির ট্যাংক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
আগে স্টুডিওটি ছবির শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোয়ের জন্য ব্যবহৃত হতো স্টুডিওটি। ঘটনার দিন কোনো শুটিং ছিল না বলে জানিয়েছে স্টুডিওটির একটি সূত্র। সূত্রটি আরো জানায়, ‘আর কে স্টুডিওতে একটি রিয়েলিটি শোয়ের শুটিং হয়। শোটির অনেক পর্বের শুটিং সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে শনিবার শুটিংয়ের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শোটির শুটিং করার কথা রয়েছে। আমরা আশাবাদী অক্টোবরের আগেই এ ক্ষতি পুষিয়ে শুটিংয়ের জন্য সেট তৈরি করতে পারব। এটি সনি এন্টারটেইনমেন্টের একটি শো ছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর শোটি টেলিভিশনে দেখানোর কথা রয়েছে।’
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাজ কাপুরের ছেলে অভিনেতা ঋষি কাপুর। তাঁর টুইটে তিনি লিখেন, ‘আর কে স্টুডিওতে বড় অগ্নিকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের পুরোনো এক নম্বর স্টেজটাকে হারিয়েছি। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।’
পরে অপর এক টুইট বার্তায় স্টুডিওটির ক্ষতির কথা জানান ঋষি কাপুর। টুইটে তিনি লিখেন, ‘স্টুডিওটি আবার নির্মাণ করা সম্ভব হবে। কিন্ত যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। স্টুডিওর স্মৃতিস্মারকগুলো পুড়ে গেছে। আর কে স্টুডিওর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এটি মর্মান্তিক। আগুন আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে।’
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টুইটে নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করেছেন করন জোহর, ফারহান আক্তার, বোমান ইরানি ও ফারাহ খান। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আর কে স্টুডিও। রাজ কাপুর মারা যাওয়ার পর এই স্টুডিওর দায়িত্ব গ্রহণ করেন রণধীর কাপুর।