‘হেমা মালিনীর সাথে হাসপাতালে নিলে বেঁচে যেত চিন্নি’
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী এবং বিজেপির সংসদ সদস্য হেমা মালিনী। এ খবর সবার জানা। কিন্তু একই দুর্ঘটনায় মারা গেছে পাঁচ বছর বয়সী সোনম খাণ্ডেলওয়াল চিন্নি নামের এক কন্যা শিশু- এটা হয়তো অনেকেই জানেন না। বৃহস্পতিবার রাতে হেমা মালিনীর গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে আরেকটি গাড়ির। এতে হেমা মালিনী এবং তাঁর গাড়িচালক আহত হন। সেই সঙ্গে আহত হন অপর গাড়িতে থাকা একই পরিবারের চার সদস্য। মারা যায় এক শিশু।
নিহত চিন্নির বাবা হনুমান খাণ্ডেলওয়াল টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, তাঁরা পুরো পরিবার নিয়ে গাড়িতে করে জয়পুর যাচ্ছিলেন। পূর্ণিমার রাতে প্রায়ই তাঁরা গাড়ি করে জয়পুরে ঘুরতে যান। সেদিনও যাচ্ছিলেন।
টায়ার ব্যবসায়ী ৩১ বছর বয়সী খাণ্ডেলওয়াল বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। জয়পুর-আগ্রা মহাসড়কের লালসট এলাকায় একটি দ্রুতগতির মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমাদের গাড়িটির ওপর এসে পড়ে। এ সময় আমার মেয়ে সামনের সিটে তার মায়ের কোলে বসা ছিল।’
খাণ্ডেলওয়াল গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘হেমা মালিনীকে যে ডাক্তার রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন সে সময় তাদের সন্তান চিন্নিকেও যদি হাসপাতালে নেওয়া যেত তাহলে সে হয়তো বেঁচে যেত।’ পরিবারটিকে পরবর্তী সময়ে জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো এবং হত্যার অভিযোগে হেমা মালিনীর ড্রাইভার মহেশ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সমালোচনার মুখে শিশুর মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। চিকিৎসা শেষে আজ জয়পুরের হাসপাতাল ছেড়ে মুম্বাইয়ে নিজের বাড়ির পথ ধরেছেন হেমা মালিনী।