কমল হাসানের অপূরণীয় ক্ষতি
একটি বইপ্রেমীর কাছে তার প্রতিটি বই-ই অমূল্য। সার্বক্ষণিক সঙ্গী এই বইয়ের বিনা কারণে একটি পৃষ্ঠা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বইপ্রেমী তো বটেই, সাধারণ মানুষের মনেও তা দাগ কেটে যায়। সেক্ষেত্রে বড় দুর্ভাগাই বলতে হবে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ভারতীয় অভিনেতা কমল হাসানকে। গত সপ্তাহে চেন্নাইতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কমল হাসানের লাইব্রেরির বিশাল একটি অংশ।
এই ক্ষতিকে যতটা না আর্থিক তার চেয়ে বেশি সৃজনশীলতার ক্ষতি বলে দাবি করছেন এই অভিনেতা। ডিএনএ ইন্ডিয়াকে এই অভিনেতা বলেন, ‘আর্থিক দিক দিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব না তা হলো আমার লাইব্রেরির প্রায় ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। কিছু বই অবশিষ্ট আছে আর কিছু একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমি যা হারিয়েছি তা কোনো টাকা-পয়সা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
কমল হাসানের বাড়িটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানে একটি ভাড়া করা বাড়িতে রয়েছি যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার নতুন বাড়ি পুরোপুরি তৈরি হচ্ছে। যেখানে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সেখানেই ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ঘরটি পুনরায় নির্মাণ করা হবে। আমি একটি পোস্ট প্রডাকশন ভেন্যু নির্মাণ করছি যা আবার বাড়ি থেকে কাছেই হবে। ফলে আমার বর্তমান অফিস থেকে নতুন অফিসে স্থানান্তরিত হলে আমি বছরে প্রায় ৬০০ ঘণ্টা বাঁচাতে পারব।’
বর্তমানে কমল কাজ করছেন তিনটি চলচ্চিত্র নিয়ে—বিশ্বরূপম ২, সাবাশ নাইডু এবং ওরে ইরাভু। তিনটি চলচ্চিত্রই ধারাবাহিকভাবে অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।