বহু বছর পর সিনেমায় দিলারা ইয়াসমিন
দীর্ঘ ২০ বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন বড়পর্দার অভিনেত্রী দিলারা ইয়াসমিন। গতকাল সাভারে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবিতে শুটিং করেন তিনি। ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, সঙ্গে জুটি বাঁধছেন নায়িকা মৌসুমী। আরো থাকবেন এই প্রজন্মের বাপ্পি ও মিম। ছবিটি পরিচালনা করছেন মনতাজুর রহমান আকবর। এতদিন পর অভিনয়ের অনুভূতি সাবলীলভাবে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন দিলারা ইয়াসমিন।
প্রশ্ন : এতদিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করতে কেমন লাগছে?
দিলারা ইয়াসমিন : ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে মনে হচ্ছিল আসলে কী করব! কিন্তু দাঁড়ানোর পর আর কিছু মনে হয়নি যে আমি এতদিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। আর ছবির সেটের প্রায় সবাই আমার অনেক পরিচিত। প্রায় সবার সঙ্গেই ২০ বছর আগে কাজ করেছি। পরিচালক আকবর ভাইয়ের ছবিতে আমি আগেও কাজ করেছি। আমার সহশিল্পী আহম্মেদ শরিফ সাহেবের সঙ্গে কাজ করেছি। যে কারণে এখন আর মনে হচ্ছে না আমি অনেক বছর পর কাজ করছি।
প্রশ্ন : কোনো কিছু কি পরিবর্তন মনে হচ্ছে?
দিলারা ইয়াসমিন : আমার কাছে একই মনে হয়েছে, তবে ডিজিটাল হওয়ার আগে ক্যামেরা চালু হওয়ার পর একটা শব্দ হতো। সেই শব্দটা শুনে আমরা বুঝতে পারতাম এখন ক্যামেরা চলছে। তখন আমরা সবাই অনেক বেশি সিরিয়াস থাকতাম। বুঝতে পারতাম কখন ক্যামেরা বন্ধ করা হচ্ছে। তখন যেহেতু ৩৫ মিলিমিটারে শুটিং করা হতো, সেই নেগেটিভের খরচ হতো অনেক বেশি, আমাদেরও খেয়াল থাকত যে শট ভুল করা যাবে না। তবে এখন একটা বিষয় অনেক ভালো হয়েছে যে, শট দিয়ে দেখতে পারছি কেমন করলাম। আগে তো ডাবিংয়ের আগে দেখতে পারতাম না।
প্রশ্ন : ছবিতে কোন চরিত্রে আপনি কাজ করছেন?
দিলারা ইয়াসমিন : এই ছবিতে আমি নায়ক বাপ্পির মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। এখানে আমার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করছেন আহম্মেদ শরিফ সাহেব। তিনি ৩৫ বছর ধরে এই এলাকার চেয়ারম্যান। বাপ্পি আমাদের একমাত্র সন্তান। চেয়ারম্যান সাহেব নিজের আভিজাত্য ধরে রাখতে সব করতে পারেন। আর বাপ্পির মানুষের সেবায় ভ্যানও চালাতে সমস্যা নেই। এই বাপ-বেটাকে সামলাতে সামলাতেই আমার ছবি শেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : এখন থেকে কি নিয়মিত কাজ করবেন?
দিলারা ইয়াসমিন : এখন যেহেতু একটি ছবিতে কাজ করছি তাই সব সময়ই করার ইচ্ছে আছে, তবে অভিনয় করার মতো চরিত্র হতে হবে। ভালো গল্প ও মেকার পেলে অবশ্যই অভিনয় করব।