পুলিশের কাছ থেকে ৩ কর্মীকে ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় এক যুবককে মারধর করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ওই তিনজনকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগের নেতারা।
গতকাল রোববার রাতে ঢাবির আমতলায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম আব্রাহাম। তিনি দাবি করেন, তিনি শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ঘটনার সময় আব্রাহাম তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এমন সময় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের তৃতীয় বর্ষের কামাল, দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ ও একই বর্ষের বায়জিদ কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আব্রাহাম ও তাঁর বান্ধবীকে মারধর করেন। বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসলে তাঁরা তিনজনকে পুলিশে দেন।
পরে পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগের মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি ওই তিনজনকে ছিনিয়ে নেন। ওই তিনজন ছাত্রলীগের কর্মী বলেন জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, আমতলায় ওই ছেলেটি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় বিভিন্ন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে তাঁকে মারধর করেন। পরে শিক্ষকরা এসে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাঁদের নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতারা এসে ছাড়িয়ে নেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানিকে একাধিকবার কল দিলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, ‘তাদের দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আমি তাদেরকে সমাধান করে দেই।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। আমি খোঁজ নেব।’
ঢাবির প্রক্টর এ এম আমজাদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তবে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, সেটা শুনেছি। ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের নাম আমরা বের করার চেষ্টা করছি।’