তরুণ প্রজন্মের মেধাই দেশের বড় সম্পদ : আরেফিন সিদ্দিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তরুণ প্রজন্মের মেধাই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তিনি এই মেধাসম্পদের যথাযথ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে মানবসভ্যতার উৎকর্ষ সাধনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
এদিন বিএসএস পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ১০টি বিভাগের ২৮ শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে নতুন প্রজন্মকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে হবে। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে। ভালো একাডেমিক ফলাফল অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সৎ, দেশপ্রেমিক ও সত্যনিষ্ঠ হতে হবে। মানবিক মূল্যবোধের অভাবেই সমাজ তথা বিশ্বে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কারণে অবশ্যই নতুন প্রজন্মকে মানবিক মূল্যবোধে দীক্ষিত হতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ স্বাগত বক্তব্য দেন।
পুরস্কার শিক্ষার্থীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের মো. নাহিদ ফেরদৌস পবন, মো. ইসলামুল হক, মাহির এ. রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আবু সুফিয়ান, রুবেল মোল্লা, সানিয়া আকতার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফারহানা রাজ্জাক, মো. আবদুল হান্নান, ফাতিমা-তুজ-জোহরা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জেনিনা ইসলাম আবির, মনিরা বেগম, নওশিন জাহান ইতি, লোক প্রশাসন বিভাগের ম্যাগডানিলা ডি সিলভা, মো. আমজাদ হোসেন, শাহ মো. আজিমুল এহসান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের মোসা. কামরুন নাহার, আদিবা সুলতানা মিম, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের রওশন ই ফাতিমা, মাহিরাতুল জান্নাত, হালিমা-তুস-সাদিয়া, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মোহাম্মদ সাঈদ ইসলাম, তানজিলা আফরিন, আলভী আল সৃজন, মায়শা সামিহা, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের আনিকা ইন্তেসার, নুশরাত জাহান, উম্মে ফারিহা এবং পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মো. জাকিউল আলম।