রাবি প্রক্টরের আশ্বাসে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক বাস চালক ও তাঁর সহকারীকে পুলিশের মারধরের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরে আশ্বাসে এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শান্তির দাবিতে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিবহন শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যদের।
জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে শিক্ষার্থী নামানোর সময় রাবির বাসচালক সাইফুল ইসলাম ও চালকের সহকারী আশিকুর রহমানকে মারধর করে পবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেরুল ইসলাম। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আজ সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে কর্মচারীরা। ফলে সকাল ৯টা ও ১০টার বাস চলাচল বন্ধ থাকে। পরে দুপুর ১২টার দিকে পরিবহন দপ্তরে গিয়ে তাঁদের দাবির বিষয় শোনেন প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। একপর্যায়ে প্রক্টরের আশ্বাসে তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নওহাটা কলেজ মোড়ে পুলিশের একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল বাসের ড্রাইভার ও হেলপারকে মারধর করেন। এ ঘটনার পর দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পারি নি। মারধরে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আজকে সকালে ধর্মঘট শুরু করলে প্রক্টর এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে তা প্রত্যাহার করে দুপুরে আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন ‘পরিবহন শ্রমিকরা বিশ্ববিদালয়ের সদস্য। তাঁদের সব সমস্যা দেখভালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। মারধরের বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার আমি তাঁদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা না দিয়ে আজ সকালে ধর্মঘট শুরু করে। আমি তাদের অভিযোগ শুনেছি। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’