শিবির-সন্দেহে শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর, পুলিশে দিল প্রশাসন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে আটক করে মারধর করেছে ছাত্রলীগ। পরে ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে হল প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম আবু সালেহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে হলের ১০৫ নম্বর কক্ষে সন্দেহমূলকভাবে তল্লাশি চালান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের লকার থেকে শিবিরের কার্যক্রমের কিছু কাগজপত্র এবং তাঁর কম্পিউটারে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর তাফসির পাওয়া যায়। এরপর আবু সালেহকে আটক করে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরের দিন সকালে ছাত্রলীগ ও হল প্রশাসন সভা ডেকে তাঁর কম্পিউটার ও লকারে পাওয়া কাগজপত্রগুলো জব্দ করে পুলিশে দেয়।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে আমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ফোন দেয়। তাঁরা বলে, আপনার হলের ১০৫ নম্বর কক্ষে এক শিক্ষার্থী ওয়াজ শুনছিল- এমন সময় তাঁর কম্পিউটারে অনেক ইসলামিক গান, জলসা এগুলো পাওয়া গেছে। তখন আমি বললাম, ওর জিনিসগুলা তালা দিয়ে রাখো আমি কাল (বৃহস্পতিবার) এসে দেখব।’
আবাসিক শিক্ষক আরো বলেন, ‘যথারীতি আমি আজ এসে তাঁর কাছে থাকা জিনিসপত্রগুলো দেখলাম। দেখে নিজে কোনো সিদ্ধান্তে না নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছি। শিবিরের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে আটক করিনি, গ্রেপ্তারও করিনি। হল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে বলেছে, দেখেন আপনারা ওর কাছে কোনো কিছু পান কি না। আমরা ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এখন পর্যন্ত তাঁর কাছে আমরা শিবির সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাইনি।’