কমেছে সিডিবিএলের সেবার খরচ
সিকিউরিটিজ লেনদেনের ওপর সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সেবার খরচ কমিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ এর সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। এটি বাংলাদেশ গেজেটে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
বিএসইসির ৫৮১তম কমিশন সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশন ডিপিজিটরির প্রদত্ত সেবার ফি সংক্রান্ত ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ এর সিডিউল-৪ এর খসড়া সংশোধনীতে বেনিফিসিয়ারি ওনারস (বিও) হিসাব রক্ষণ ফি ও অন্যান্য ফি কমানো এবং নতুন ইন্সট্রুমেন্ট সংযোজনসহ ফি পুনর্বিন্যস্ত করে। এ-সংক্রান্ত আগের আইনের সংশোধন করা হয়েছে।
গত ২৯ জুন ৫৭৯তম কমিশন সভায় বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণসহ সিডিবিএলের অন্যান্য ফি কমাতে ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর শিডিউল ৪-এর খসড়া সংশোধনী অনুমোদন করে বিএসইসি। সংশোধনীতে নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট সংযোজনসহ বিভিন্ন ফি পুনর্বিন্যস্ত করা হয়। পাশাপাশি বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক ফিও ৫০ টাকা কমানো হয়। জনমত জরিপ শেষে সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা হয়। কমিশন সূত্র জানায়, খসড়ায় মার্কেট মেকারদের ইটিএফ ও বেমেয়াদি ফান্ড লেনদেনের ক্ষেত্রে সিডিবিএল ফি প্রতি লাখে সাড়ে ১২ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সাড়ে ৭ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। খসড়ার এই এক জায়গায় পরিবর্তন এনে সংশোধনীটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের ফি হিসেবে বছরে ৫০০ টাকা নেয় সিডিবিএল। সংশোধনীতে তা ৫০ টাকা কমিয়ে ৪৫০ টাকা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বিও হিসাবের ফি থেকে সরকার ২০০ টাকা, সিডিবিএল ১০০, সংশ্লিষ্ট ডিপি ১০০ ও বিএসইসি ৫০ টাকা পাবে। আগে বিও হিসাবের বার্ষিক ফি থেকে সিডিবিএল ১৫০ টাকা পেত।
এ ছাড়া পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচার সুযোগ তৈরির অংশ হিসেবে এর লেনদেনে সিডিবিএল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ), সরকারি সিকিউরিটিজ (ট্রেজারি বন্ড), স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য প্রস্তাবিত বাজারে লেনদেনের ফিও নির্ধারণের প্রস্তাব সংশোধন করা হয়েছে।