স্টক এক্সচেঞ্জের নির্দিষ্ট সূচক, সূচকভুক্ত কোম্পানি কিংবা নির্দিষ্ট খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) বিধিমালার অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৫৭৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিগগিরই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম হিসেবে ইটিএফ চালু করার উদ্দেশ্যে (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) রুলস, ২০১৬-এর খসড়ার কিছু সংশোধনসহ এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত মে মাসের শেষ দিকে প্রকাশিত ইটিএফ ফান্ড বিধিমালার খসড়ায় ইটিএফ তহবিলের আকার সর্বনিম্ন ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য অনুমোদিত অংশগ্রহণকারীদের (অথরাইজড পার্টিসিপেন্ট) মাধ্যমে ফান্ডের আকার বাড়ানো যাবে। অনুমোদিত অংশগ্রহণকারী বলতে বিএসইসিতে নিবন্ধিত স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারদের বোঝানো হয়েছে।

ইটিএফ ফান্ডের মোট আকারের অন্তত ১০ শতাংশ উদ্যোক্তা অংশের থাকতে হবে। ফান্ডের আকারের ন্যূনতম ৩ শতাংশ বিনিয়োগ সব সময় থাকতে হবে। এ ছাড়া ফান্ডের টার্গেট সাইজের অন্তত ৩ শতাংশ বিনিয়োগ থাকতে হবে সম্পদ ব্যবস্থাপকের। সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ইটিএফ ফান্ডের উদ্যোক্তা হলেও প্রতিষ্ঠানটিকে এ বিনিয়োগ করতে হবে। ফান্ডটি তালিকাভুক্তির দিন থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য উদ্যোক্তা ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অংশ লকইন (লেনদন অযোগ্য) থাকবে।

এ ফান্ডে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরাও বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে ন্যূনতম দুই কোটি টাকা আয় রয়েছে, এমন ব্যক্তিই ইটিএফ ফান্ডে বিনিয়োগের যোগ্য হবেন।