বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে এমন কিছু করা হবে না যেখানে শ্রমিকদের স্বার্থের ক্ষতি হয়। তাদের স্বার্থ রক্ষা করেই সবকিছু করা হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, বিগত ২০০৯ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাত্র এক হাজার ৬০০ টাকা। পরে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের বেতন ২২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে শ্রমিকরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে আজ দেশের অর্থনীতির এ উন্নতি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে দেশের ৪৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্প কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন উপযুক্ত বেতনে, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কারখানায় কাজ করছে।

 তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো এরই মধ্যে কমপ্লায়েন্স (কর্মপরিবেশ উন্নত) করা হয়েছে। পুরোনো কারখানার বদলে নতুন আধুনিক গ্রিন ফ্যাক্টরি তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এ জন্য কারখানার মালিকদের বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে ব্যয় বাড়লেও ক্রেতারা তাদের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করেনি। শ্রমিকদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে ৪৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছে। একটা সময় ছিল যখন পোশাক কারখানায় নিরাপত্তার কারণে লোকজন কাজ করত না। এখন শ্রমিকরা নিরাপত্তার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশে কাজ করছেন।

শ্রমসচিব মিকাইল শিপারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সামসুজ্জামান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।