হংকংয়ে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কম মজুরিতে দক্ষ জনবল পাওয়া সম্ভব, পরিবহনে খরচ কম, দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষিত তরুণরা বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো। সংগত কারণেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।’

গতকাল বুধবার রাতে ‘বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকং’-এর যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।  

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করছে। উন্নত দেশের চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ পণ্য সুনামের সঙ্গে রপ্তানি করছে। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।’ 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উজ্জ্বল সম্ভবনা দেখেই বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে।  সরকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। দেশে এখন অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এ ক্ষেত্রে সরকার বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পণ্য হংকংয়ে জনপ্রিয় হবে সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে আমদানি কারকদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চমৎকার, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবো। আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করব। বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অবাক হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের স্বাধীনতা এবং দেশেকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন, আজ তাঁরই কন্যা দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে মুক্ত করছেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। তার আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশ হবে।’ 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নবগঠিত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের প্রেসিডেন্ট একরাম খান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-হংকংয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ফর কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট গুলফ্রে লিয়ং কিং কুয়োক, হংকংয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ সারওয়ার এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, হংকংয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।