বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত, মোনাজাতে কল্যাণ কামনা
দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মানুষের কল্যাণ ও দেশের সমৃদ্ধ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে শুরু হয় ঈদের প্রথম জামাত। নামাজ শেষে ৭টা ২২ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া ১২ মিনিটব্যাপী চলা মোনাজাতে আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। এ মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এ সময় মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃতের আত্মার মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ইমাম সাহেব। প্রথম জামাতের ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।
এর আগে আজ ফজরের নামাজের পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা ও পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় শেষ ঈদ জামাত।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান। তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী। চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।