হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাসিক ভবন ঘেরাও
‘অস্বাভাবিক হারে’ হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবন (নগর ভবন) ঘেরাও করেছে নগরবাসী। এ সময় বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স সাত দিনের মধ্যে না কমালে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ ও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে বিক্ষুব্ধ নগরবাসী নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়। এ সময় তারা অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। তারা অভিযোগ করেন, নগরবাসীর প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র অন্যায়ভাবে তাদের ওপর বাড়তি হোল্ডিং ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে সাতদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে বর্ধিত ট্যাক্স না কমালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়। বিক্ষোভ চলাকালে নগর ভবনের সামনে সাঁজোয়া যান নিয়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে পুলিশ। অবস্থান কর্মসূচি থেকে একই দাবিতে পৃথক দুই সংগঠন স্মারকলিপিও জমা দেয়। মেয়রের অনুপস্থিতিতে তাঁর একান্ত সচিব স্মারকলিপি দুটি গ্রহণ করেন।
নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক এ সময় বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়রের ভারে কুজো হয়ে গেছে রাজশাহীবাসী। এই হোল্ডিং ট্যাক্সের নির্যাতন নগরবাসী আর চায় না। একজন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে নিযাম-উল-আযিম দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র হয়েছেন। নগরবাসীর প্রতি তাঁর কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় তিনি সবার ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন।
হোল্ডিং ট্যাক্স প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক রাগিব আহসান মুন্না বলেন, রাসিক হঠাৎ করেই বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স অস্বাভাবিকহারে বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ গুণেরও বেশি ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এই বর্ধিত ট্যাক্সের কারণে কেবল নগরীর বাড়ি মালিকরাই নন, ভাড়াটিয়ারও বাসা ভাড়া বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে সিপিবি নেতা এনামুল হক, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাসির বিল্লাহ, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম, মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, আরডিএ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মুজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।