ভেজালের সঙ্গে জড়িতরা রেহাই পাবে না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যেসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভেজালযুক্ত খাদ্যপণ্য সামগ্রী উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবেই তারা রেহাই পাবেন না।
আজ বুধবার ‘নিরাপদ খাদ্য : খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনটি শ্রীলঙ্কা ও ভারতের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সেসব দেশেও আইনটি কার্যকর করতে তিন-চার বছর সময় লেগেছে। আমরাও কাজ গুছিয়েছি। আশা করি, আগামী বছরের মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর করতে পারব। এটি একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। এই সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করার ব্যাপারে অতীতে কোনো সরকারই চেষ্টা করে নাই। এই অধিকার আমরা দিতে চাই।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখন আমরা জনগণ এবং ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করছি। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করছি। এরপর আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যাব। অনিয়ম বা ভেজাল ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এম বদরুদ্দোজা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারমান মুশতাক হাসান মহ. ইফতিখার প্রমুখ।