অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় চার জেএমবি
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিমকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আরএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।
আরএমপির কমিশনার জানান, ওই চার জেএমবি সদস্যের মধ্যে তিনজন রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করে। অন্যজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। তিনি জানান, গতকাল সোমবার রাতে নগরীর খড়খড়ি এলাকা থেকে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের আশ্রয়দানকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং পুলিশ সদর দপ্তর ও বগুড়া পুলিশের সহায়তায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ রোববার মধ্যরাতে গাইবান্ধা থেকে জেএমবি সদস্য মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে মাসুদ ওরফে আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া করেছেন। সোমবার বিকেলে মাসকাওয়াত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তিনি সরাসরি অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আরএমপি কমিশনার শামসুদ্দিন বলেন, জবানবন্দিতে মাসকাওয়াত জানিয়েছেন, তাঁরা চারজন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন। তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোমবার রাতে নগরীর খড়খড়ি এলাকার এক বাড়ি থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে এবং তিন আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করে।
আরএমপির কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি ক্যাডার মাসকাওয়াত জেএমবির অপারেশন দলের সদস্য। তিনি অন্য তিনজনসহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করলেও ঠিক কী কারণে অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যার টার্গেট করা হয়েছিল, তা জানাতে পারেননি। তিনি আরো জানান, পুলিশ হত্যার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলেই হত্যার মোটিভ উদঘাটিত হবে।
গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরপরই রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ১৫০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তিনি বাসা থেকে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিন নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ।