রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশের নেপথ্যে পাকিস্তানের আল খিদমাত ফাউন্ডেশন
সম্প্রতি কক্সবাজারে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সমাবেশের নেপথ্যে পাকিস্তান ভিত্তিক আল খিদমাত ফাউন্ডেশনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া।
ওই প্রতিবেদন দাবি করা হয়, রোহিঙ্গাদের সমাবেশ আয়োজনের পেছনে পাকিস্তানের আল খিদমাত ফাউন্ডেশন মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেছে। আর রোহিঙ্গাদেরকে সমাবেশের আয়োজন করার জন্যও তারাই অর্থ দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, আল খিদমাত ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে।
রোগিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশের ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানা ছিল না সরকারের। এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন রোহিঙ্গারা সংগঠিত হয়ে এমন কিছু করতে না পারে সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তারা ফিরে তো যায়ইনি, উল্টো বিদেশের মাটি হওয়া সত্ত্বেও তারা বড় একটি সমাবেশ করল। রোহিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশের খবর চলে আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। প্রশ্ন ওঠে বিদেশি হিসেবে এমন সমাবেশ তারা বাংলাদেশে করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আদৌ কারো অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কালকের যে সমাবেশটা হয়, আমাদের কাছে আগে এর খবর ছিল না। ইনফ্যাক্ট টেলিভিশনে আমরা প্রথম এ ব্যাপারে তথ্য পেলাম। তবে আমরা জেনেছি যে তারা যেহেতু দোয়া করবে সেজন্য এ ব্যাপারে আপত্তি করা হয়নি।’