খুলনায় স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে রাবেয়া খাতুন (৮) নামের এক স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার সকালে পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
রাবেয়ার বাড়ি দেয়াড়া গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ শাহজাহান বয়াতি। সে দেয়াড়া আরডিএন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় দিঘলিয়া থানা পুলিশ একই গ্রামের পুকুরপাড়ের একটি বাসা থেকে চারজনকে আটক করেছে। তারা হলো রাসেল (১২), তার মা রাশু আকতার (৩৪), বোন পিংকি (১৭) ও দাদি মনোয়ারা (৬০)।
দেয়াড়া গ্রামের স্থানীয় সাংবাদিক জামাল হোসেন জানান, গতকাল শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল রাবেয়া। সকালে স্থানীয় হোসেন ম্যাটের পুকুরে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে দিঘলিয়া পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার মুখ খুলে শিশুর লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা শাহাজাহান বয়াতি জানান, তাঁর মেয়ে রাসেলের ঘরে টিভি দেখতে গিয়েছিল। পুলিশ রাসেলের ঘর তল্লাশি করে জমাটবাঁধা রক্ত আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁর ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে হয়েছে। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেলের পরিবারের চারজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমান জানান, রাবেয়া খাতুন হত্যা মামলার আসামি রাসেল স্বীকার করেছে, তার বাসায় টিভি দেখতে আসা রাবেয়া খাতুনকে সে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, রাসেল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, টিভি দেখার সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে সে রাবেয়াকে হত্যা করে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা এখনো জানা যায়নি।