দুই মামলায় বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২ মিনিটে আদালতে হাজির হন তিনি।
urgentPhoto
এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের বেঞ্চে শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। আজ পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের শুনানি চলছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত আছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেন, ‘আমাদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুবউদ্দিন চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ায় তাঁর পরিবর্তে অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করবেন।’
এর আগে দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন আদালত। বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ওই দিন নির্ধারণ করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশীদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।