রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে নিবন্ধন পদ্ধতি ভূমিকা রাখবে
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মাসুদ রেজোয়ান বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে করা এই রোহিঙ্গা তথ্যভাণ্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আজ শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মেজর জেনারেল মাসুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশি ভোটার আইডি কার্ডের আদলে রোহিঙ্গাদের নাম, ঠিকানা ও স্থানসহ পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। এ পদ্ধতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের সাতটি কেন্দ্রে ছয় লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা নিবন্ধন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা।
এ সময় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাসপোর্ট অধিপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, প্রথম দিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের গতি কিছুটা কম থাকলেও পরবর্তীতে একসঙ্গে কয়েকটি কেন্দ্রের মাধ্যমে গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং এর সফলতাও মিলেছে। কারণ বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে; এতে এই পদ্ধতিতে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, ‘সব রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা হবে। কেউ লুকিয়ে থাকলেও পুলিশের মাধ্যমে তাদের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কারণ আমরা চাই সব রোহিঙ্গা নিবন্ধনের মাধ্যমে মিয়ানমারে ফেরত যাবে। এতে কেউ ছাড় পাবে না।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের সঠিক তথ্য সংরক্ষণ করতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত ক্যাম্পের সাতটি কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে সরকার।