বাড়ির উঠান খুঁড়ে মিলল ৪০৫০০ ইয়াবা, মা-ছেলে আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ‘মাদক ব্যবসায়ীর’ বাড়ির উঠান খুঁড়ে ৪০ হাজার ৫০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ঝর্ণা বেগম ও তাঁর ছেলে সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আরেকটি অভিযানে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনায় ব্যবহৃত দুটি স্পিডবোট জব্দ করে র্যাব।
এ ঘটনায় র্যাব আটক ও পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। র্যাব ১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও উপপরিচালক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ এই তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার দুপুরে ভৈরব র্যাব ক্যাম্প চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট শোভন খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের মরিচাকান্দি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. সবুজ মিয়া ওরফে ধন মিয়া ওরফে ডন মিয়া (২৯), মো. সুমন মিয়া (২৪), ফরিদ মিয়া (৪৫) ও ঝর্ণা বেগমসহ আরো কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীর সহায়তায় ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যে ১৯ অক্টোবর সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে মনোয়ারা বেগম নামে একজনকে ২১ হাজার ৩০০ ইয়াবা বড়ি ও অন্যান্য মাদকসহ আটক করা হয়।
মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ বলেন, এরপর জানা যায় সবুজ মিয়ার নেতৃত্বে ইয়াবার একটি বড় চালান সুমন মিয়ার মাধ্যমে তাঁর মা ঝর্ণা বেগমের হেফাজতে তাঁদের নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঝর্না বেগমের বাড়ি থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মা ও ছেলের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই রাতেই সবুজ মিয়া ও ফরিদ মিয়াকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। ফরিদ মিয়ার নিজের দুটি স্পিডবোটে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের ধাওয়া করলে স্পিডবোট ফেলে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে ওই স্পিডবোট দুটি জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঝর্ণা বেগম জানান, তাঁর ছেলে মো. সুমন মিয়া ইয়াবার চালান লুকিয়ে রাখার জন্য তাঁকে দেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরিচাকান্দি বাজার থেকে ছেলে সুমন মিয়াকে আটক করা হয়।