রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন আবদুল হক নামে আরো একজন।

আজ রোববার সকালে ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহ উদ্দিনের আদালতে আবদুল হক হাজির হয়ে এ সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফোরকান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, এর আগে মামলাটিতে আরো ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এদের মধ্যে সাক্ষীদের মধ্যে ভিকটিম, তাঁর মা, বাবা ও নানাও রয়েছেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমান ও অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে অব্যাহতির সুপারিশসহ শুধু পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবে খোদা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১১ সালের ৫ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন তার বাবা মাহমুদুল হক।

মামলা দায়েরের পরের দিন ৬ জুলাই পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাঁর স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভিকটিমকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও আকারে ধারণ করা হয়। পরে একই বছরের ১৭ জুন আবারও ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করা হয়।