নোয়াখালীর ‘জিনের বাদশা’ ধরা পড়ল মুন্সীগঞ্জে
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব-দেউলভোগ এলাকা থেকে কথিত জিনের বাদশা মো. মিজানুর রহমানকে (৩০) আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামবাসী মিজানুরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
কথিত জিনের বাদশা মো. মিজানুর রহমান ওরফে মাসুদ ওরফে সুমনের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাদেকান্দি গ্রামে। শ্রীনগর থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রতারণার শিকার শিউলি ইসলাম জানান, গত ১১ মে শবে বরাতের রাতে তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তাঁর নাম জানতে চায়। আলাপচারিতার একপর্যায়ে অর্থ-সম্পদসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে শুরু করে। পরে ওই ব্যক্তি বিভিন্ন নম্বর থেকে বিভিন্ন কণ্ঠে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলে বিষধর সাপ চালান করে স্বামী-সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সংসার রক্ষা করতে জিনের বাদশার দেওয়া বিভিন্ন নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠায়। ওই ব্যক্তি আরো টাকা দাবি করলে তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে শ্রীনগর নিয়ে আসেন তিনি। পরে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর হোসেন জানান, কথিত জিনের বাদশা মো. মিজানুর রহমান ওরফে মাসুদ ওরফে সুমন শ্রীনগর উপজেলার আবদুল মালেকের স্ত্রী শিউলি ইসলামের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে কথা বলে স্বর্ণালংকার ও অর্থ সম্পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে বিভিন্ন সময় স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। আজ বিকেলে শ্রীনগর এলে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।