সাফাতসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক শফিউল আজমের আদালতে মামলার বাদী সাক্ষ্য দেন।
আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আকবর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যের দিন ধার্য করেছেন।
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি।
অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন।
অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা।
বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
এই মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।