প্রধান বিচারপতিকে জোর করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : ফখরুল
প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসায় দেখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম নিন্দনীয় কাজ করে দেশের বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে, যেহেতু তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায় দিয়েছেন যে রায়টা দেশের সত্য ঘটনাগুলোকে উদঘাটন করেছে, দেশের বর্তমান অবস্থাকে উদঘাটন করেছে। এটা সরকারি দল সহ্য করতে পারছে না এবং তারা মনে করছে এটা তাদের জন্য সমস্যা হবে। সুতরাং আজকে জোর করেই তারা বিদেশে পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। আমার তো মনে হয়, সরকারের উচিত চিফ জাস্টিসকে কথা বলতে দেওয়া। তারা দিচ্ছে না কেন?’
গত ১০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিদেশে অবস্থানের জন্য অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে একটি চিঠি দেন। এতে তিনি ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর এক মাসের ছুটির আবেদন করেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছুটির কারণ হিসেবে তিনি ‘অসুস্থতা’র কথা উল্লেখ করেন। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস অবকাশ শেষে কোর্ট খোলার পর প্রথম দিন থেকেই তিনি ছুটিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অবর্তমানে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা দায়িত্ব পালন করবেন।’ এ ছাড়া গত ১০-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে ছুটিতে ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।
প্রসঙ্গত, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশের পর থেকে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। জাতীয় সংসদেও তাঁর সমালোচনা করা হয়।