প্রজনন মৌসুমে আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জরি করেছে সরকার। দেশে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় পূর্ণিমার তিনদিন আগে থেকে ও অমাবস্যার চারদিন পর পর্যন্ত প্রজনন সময়। ভরা মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে উপকূলীয় লোনা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য জেলার মদনপুর ও চর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশের অভায়শ্রম রয়েছে। এ সময় নির্ধারিত স্থানে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় এ সময় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার না করার জন্য এরই মধ্যে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। ইলিশ মাছ শিকার নিষিদ্ধ হওয়ায় জেলেদের মাঝে এই সময়ে সরকারি চাল বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। তাই নির্ধারিত সময়ে জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বরফ উৎপাদন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।’