প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চক্রান্তের খবর সম্পূর্ণ ভুয়া : শিল্পমন্ত্রী
ভারত ও বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চক্রান্তের খবর ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হকসহ মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চক্রান্তের খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এ ধরনের কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের ২৪ তারিখে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কয়েকজন সদস্য দিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশও (জেএমবি) জড়িত। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছের কয়েকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কয়েকজন কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
আজ সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের ভিটেবাড়িতে না থাকতে পেরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশ আয়তনে ছোট আর জনসংখ্যায় বেশি। তারপরও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর এ নির্যাতনের জন্য বাংলাদেশের বৌদ্ধরা দায়ী নয়। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদ করছে। এরপর মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গারা যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে এবং ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য ১২টি ক্যাম্পের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে আমু বলেন, রোহিঙ্গারা যেন আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকে, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ক্যাম্পের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
রোহিঙ্গাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের স্ট্যাটাস নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়নি। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দেশে পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমু বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। জঙ্গি তৎপরতা কমে এসেছে। পাশাপাশি দেশে নারী ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন কমেছে।