মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ, ৫ কারারক্ষী বরখাস্ত
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগে পাঁচ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও একজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাশিমপুর কারাগার ১-এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের ভেতর কারারক্ষী মুস্তাকিনের (নম্বর-১৩১০৪) বাসা থেকে বৃহস্পতিবার ১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়ায় কারারক্ষী রকিবুল (নম্বর-১২৪৬৯), কারারক্ষী আল-মামুন (নম্বর-১৩৭২৩) এবং কারারক্ষী মজনু মিয়াকে (নম্বর-১১৯১৬) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাশিমপুর কারাগার ২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, বৃহস্পতিবার কয়েদি শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কারারক্ষী আজিজার রহমান (নম্বর-১৩৮২৯) ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো দিয়েছেন বলে জানান। একপর্যায়ে কারা কমপ্লেক্সের ভেতর আজিজার রহমানের বাসা থেকে ৬০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আজিজারকে জয়দেবপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারাগারের ভেতর মাদক ব্যবসার অভিযোগে কারারক্ষী আজিজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হামিদুর রহমান জানান, কাশিমপুর কারাগার ২-এর ভেতর থেকে ৬০০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কারারক্ষী আজিজার রহমানকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে।
ডিআইজি (প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাদকের ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে গোপনে সন্দেহভাজন কারারক্ষীদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরে। পরে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যেসব কারারক্ষী মাদক সেবন ও বহনের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।