স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তামনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাবে। সে এখন অনেক ভালো আছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুক্তামনিকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসিম আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যেই সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সীমিত সম্পদের মধ্যেও আমাদের চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তরুণ ও প্রবীণ অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁদের মেধার পরিচয় দিচ্ছেন। তোফা-তহুরার অপারেশনসহ নানা জটিল চিকিৎসায় তাঁরা সফল হয়েছেন।’

রাজধানীর চানখাঁরপুলে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউট নির্মাণকাজ শেষ হলে দেশবাসী আরো ভালো চিকিৎসাসেবা পাবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীলতার জন্যই চিকিৎসকরা উৎসাহ পেয়েছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিদেশের চেয়ে বাংলাদেশে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের আরো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে তাঁরা ভালো মানের সেবা সুনিশ্চিত করবেন।

সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেনের মেয়েশিশু মুক্তামনি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। তার ডান হাত ফুলে বিকট আকার ধারণ করে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামনির চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন। মুক্তামনির চিকিৎসায় ১৪ সদস্যের টিম গঠন করা হয়। এ টিমের মধ্যে অধ্যাপক এম এ খান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের মতো চিকিৎসক রয়েছেন।