এক মহিউদ্দিনের দাপটে ৮ পরিবার ঘরছাড়া!
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকার বড়ালু নক্তিপাড়ায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে আটটি পরিবার প্রায় দুই মাস ধরে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণভয়ে বাড়িতে ফিরতে না পেরে নারী ও শিশুসহ এই আট পরিবারের ৩০ সদস্য এখানে-সেখানে আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ভগ্নিপতি ফারুকের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ২৭ মে লোকজন নিয়ে ভগ্নিপতি ফারুক মিয়ার পরিবারের ওপর হামলা চালান মহিউদ্দিন। এ সময় তাদের মারধর ও কুপিয়ে আহত এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। এরপর থেকেই প্রাণভয়ে তারা বাড়ি ছাড়া। ঘটনার কয়েকদিন পরে পুলিশ ওই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই আবারও তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনার পর উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ভুক্তভোগী ফারুকের পরিবার বাড়িঘর ছাড়া হলেও এলাকাতেই অবস্থান করছেন মহিউদ্দিন।
ঘটনার পর ফারুক মিয়া রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে মহিউদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে ভগ্নিপতি ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে ননদের কাছে যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় মোট ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ফারুক মিয়া জানান, মহিউদ্দিনের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব প্রায় ২০ বছর আগে থেকে। সেই দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রায় ১২ বছর আগে ফারুক মিয়ার বাবা মহিউদ্দিনের বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। এরপর থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মহিউদ্দিন ভবন নির্মাণ করতে গেলে জমির সীমানা নিয়ে ফারুক মিয়ার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২৭ মে সকাল ১০টার দিকে মহিউদ্দিন তাঁর লোকজন নিয়ে ফারুক মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে ফারুক মিয়ার বোন জহুরা বেগম (৪৫), মা জয়নব বানু (৬২) ও ভাগ্নিসহ আরো অনেকে আহত হন।
ফারুক মিয়া (৩২) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কিছু দিন আগে একটা সীমানা নিয়ে তাঁর (মহিউদ্দিন) বিল্ডিং করব, বিল্ডিং করতে যাইয়া ওই সীমানা রাস্তার জায়গাসহ তাঁরা সব নিয়ে নিছে। তো আমি বলছি ঠিক আছে আপনারা ঘর তোলেন, কিন্তু রাস্তার জায়গা ছাইড়া পরে ঘর তুলবেন। সে (মহিউদ্দিন) বলতাছে এই ব্যাটা তুই কে, তোরে জিগাইয়া তুলমু, আমারে চেনস। আমি আওয়ামী লীগের নেতা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি। অমুক…… আছে আমার পক্ষে। আমি জেয়ানতে মন চায় সেয়ানতে তুলমু। তোর কোথায় আমি চলমু না। এই বলে আমাদের গালাগালির একপর্যায়ে মারামারি হয়।’ তিনি বলেন, ‘তখন মহিউদ্দিনসহ আরো অনেকে হেরা আমগো মারছে। মারধর কইরা হের বোইনেরে লইয়া থানায় নিয়ে যৌতুকের মামলা দিছে। আমার নামে আমার আত্মীয় স্বজন, বাপ-মা, চাচতো ভাই, এলাকার পার্শ্ববর্তী লোকজন প্রায় ১৯ জনের নামে যৌতুকের মামলা দিছে।’
ফারুক মিয়া বলেন, ‘মামলা দেওয়ার আগেই স্থানীয় জনপাড়া এলাকা বলতে আমাদের এলাকায় একটা বস্তি আছে, ওইখান থাইকা দুই থেকে আড়াশো লোক ভাড়া করছে। তারপর ২৭ মে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়, আমাদের বাড়িঘরের সব কিছু, আট পরিবারের সব মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার জিনিস লুট কইরা নিয়ে গেছে।’ তার দাবি, হামলার সময় তাঁর মা, বোন, ভাগ্নিসহ আরো সাতজনকে দা দিয়ে কুপিয়েছে মহিউদ্দিনের লোকজন। তাঁর বোনের মাথায় দুইটা ও ভাগ্নির পেটে একটা কোপ দিছে। আর মায়ের মাথায় কোপ দেওয়ার সময় হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে তার আঙুল কেটে গেছে। তিনি জানান, আহতদের কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ২১ দিন ভর্তি ছিল। আর রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছিল চারজন।
ফারুক মিয়া আরো বলেন, ‘এখন আমরা বাড়ি ছাড়া, বাড়িঘরে ঢুকতে পারতাছি না। মহিউদ্দিন সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্রসহ এলাকায় ঘুরতাছে, আমরা এলাকায় ঢুকলে আমাদের মারধর করব, মাইরা ফালাইব। আমাদের বাড়িঘরে যা আছে সে আস্তে আস্তে ঘরের টিন, তার পরে সোফা, খাট এগুলো সব নিয়ে যাইয়া বিক্রি করে ফেলতেছে। সে বলে আমাদের এলাকায় ঢুকতে দিব না, সে একা থাকবে।’
মহিউদ্দিনের স্ত্রীর মামলা
ঘটনার দিন মহিউদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১৪ বছর আগে ফারুকের সঙ্গে তাঁর ননদ রেহেনার (৩০) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ননদের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের সময় টাকা ও স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা উপঢৌকন ফারুক মিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এরপর আনুমানিক ১০ বছর আগে ফারুকের ছোট ভাই মো. অহিদের (২৮) সঙ্গে তাঁর ছোট ননদ হালিমার (২৬) বিয়ে হয়। এই বিয়ের সময় টাকা ও স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার উপঢৌকন অহিদ মিয়াকে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় তাঁর দুই ননদকে কারণে-অকারণে তাদের স্বামীরা অহেতুকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। গত ২৩ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফারুক মিয়া ও অহিদসহ তাদের সহযোগীরা রেহেনার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে সবাই মিলে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন ২৪ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর ছোট ননদ হালিমার কাছেও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফারুক মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহিউদ্দিনের ভাই আলী হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় রেহেনা (৩৬), তাঁর ননদ ফরিদাসহ (৩২) অনেকে আহত হয়। এ ছাড়া হামলার সময় লুটপাট করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আট পরিবার ৫০ দিন ঘরছাড়া
হামলার পর থেকে ফারুক মিয়া, তাঁর ভাই অহিদ,চাচা আবদুল করিম, বোন জামাই মো. মানিক মিয়া ও তাঁর ভাই নূরু মিয়া, চাচাতো ভাই মনিরুজ্জামান, মো.ইউসূফ আলী, প্রতিবেশী আছার উদ্দিন, নূর মোহাম্মদের পরিবার বাড়ি ছাড়া। মহিউদ্দিন আতঙ্কে বাড়ি ফিরতে পারছে না তারা।
এই আট পরিবারের সদস্যরা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এসব পরিবারের পুরুষদের অনেকেই ঢাকায় এসে বিভিন্ন কাজ নিয়েছে। আর নারীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকছে।
বাড়ি ফেরার জন্য সহায়তা চেয়ে ফারুক মিয়া গত ৪ জুন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর একটা লিখিত আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা
গত ২৭ মে হামলার ঘটনার পর ২৫ জুন ঈদের দুইদিন আগে বাড়িতে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মানিক মিয়া ও আবদুল করিম নামের ভুক্তভোগী দুজন। তাঁরা জানান, তদন্তের জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁরা দুজনও যান। সেখানে যাওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতিতেই মহিউদ্দিনের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানিক মিয়া (৪৫) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমগোর মেম্বরে ফোন দিছে। কইতাছে যে বাড়ির মধ্যে ইনকোয়ারি যাইব। তোরা আয় দুজন দারোগা আছে। ঈদ আইয়া পড়ছে যখন সামনে তোরা বাড়িত গিয়ে ঈদটা কর। তো আমরা ফারুক মিয়ারে লইয়া গেছি। তখন মেম্বর বলতাছে এই যে দারোগা আছে দুইজন, তাদের লইয়া ইনকোয়ারি করাইয়া বাসায় যা। পরে দারোগা গো লইয়া বাসায় ঢুকছি। গিয়ে আমাদের বাড়িঘর যে লুটপাট করছে তা দেখাইতেছি, ফারুকের বাড়ি গিয়ে কথা কইতাছি। এ সময় ওই মহিউদ্দিন, মহিউদ্দিনের ভাই হেরা আইয়া চিল্লা-চিল্লি করতাছে, কইতাছে তোগো আজকে যাইতে দিতাম না কইয়ায় দাও (দা) দিয়া, হকিস্টিক দিয়া, রোল দিয়া শুধু বাড়ি। আমার পিঠটার মধ্যে কমছে কম তিনশোটা বাড়ি দিছে।’
মানিক মিয়া বলেন, ‘ইয়ার পরে দারোগারে আমি ধরছি, দারোগারে আমি ছাড়ি নাই। মরলে দারোগারে নিয়েই মরমু। যাওয়ার আগে দারোগারে কইয়াই আমি গেছি, দারোগা বলে আরে ব্যাটা আয় এমন ফাঁপর দিমু চুপ হইয়া যাইব গা। এর পরে ওই দারোগা আমারে ফিরাইতে পারে নাই। এক ঘণ্টার উপরে আমারে মারছে। আমারে তারা ছাড়েই নাই, পরে দারোগা কি করছে পিস্তল বাইর কইরা উপরে একটা গুলি করছে। তখন একটু দমছে তারা।’
একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল করিম (৫০) বলেন, ‘মহিউদ্দিনের বাহিনীরা আমগোরে বাইড়ান শুরু করছে। বাইড়াইয়া পানিত ফালাইছে, পানিত ফ্যালাইয়া কুত্তার মতো বাইড়াইছে। একটা মানুষ আমগো ওখান তো তোলেও নাই।’
ঘটনা সম্পর্কে মহিউদ্দিন
মহিউদ্দিন জানান, ফারুক মিয়া তাঁর বোনকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে। গত ২৭ মে জমির সীমানা নিয়ে তার পরিবার ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। এ সময় ফারুক মিয়ার লোকজন তাঁর ছোট ভাইয়ের বউয়ের মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ ঘটনার পর ফারুকের পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি একটা কাজে বাইরে গেছিলাম। পরে বাসায় যাইয়া দেখি এরা সব পালাইছে। মনে করছে মারা গেছে। ওই দিন একটা মামলা হইছে। দুই দিন পরে হেরা আবার একটা মামলা দিছে।’
মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও এলাকা অবস্থানের প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি এলাকাতেই থাকি। আমি সাবেক ইউপি সদস্য। আমি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের রানিং (বর্তমান) সভাপতি।’
আট পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরতে না পারার ব্যাপারে মহিউদ্দিন বলেন, তাঁরা আগে থেকেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগও অস্বীকার করেন মহিউদ্দিন।
ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি যা জানেন
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল হাই এনটিভি অনলাইনকে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন ও ফারুক মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে গত ২৭ মে ব্যাপক মারামারি হয়। এ ঘটনার পর মহিউদ্দিনের লোকজনের ভয়ে ফারুক মিয়ার বাড়ি কয়েকটি পরিবার ঘরবারি ছেড়ে পালিয়েছে।
মহিউদ্দিনের বোনের মামলা
ফারুক মিয়া ও তাঁর ভাই অহিদের বিরুদ্ধে মহিউদ্দিনের ছোট বোন হালিমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী জোসনা বেগম। কিন্তু সেই হালিমা খাতুনই এবার স্বামীর পরিবারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। উল্টো ভাই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালিমা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁকে তাঁর স্বামী কোনো দিন যৌতুকের জন্য মারধর করেনি। আর পাঁচ লাখ টাকা তাঁর কাছে থেকে যৌতুকও চায়নি। এটা মিথ্যা কথা। তাঁর ভাই মহিউদ্দিনকে এই বিষয়টি অনেকবার বোঝাতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে ভাইয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য
ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোন জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) প্রদীপ কুমার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি একটা প্রোগামে আছি। পরে বিস্তারিত বলব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কোনো সমস্যা নেই ভাই। এদের নিজের শত্রুতা, বোন-বোন জামাই। পারিবারিক সমস্যা।’
মহিউদ্দিনের ভয়ে ফারুক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরতে পারছে না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারছি না। হেরা (তাঁরা) আসে না কেন জিজ্ঞেস করেন। বাড়িতে নিয়ে যাইয়া বসাইয়া রাখমু, দেখি কেডা বাধা দেয়।’
পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার বিষয়ে ওসি ইসমাইল হোসেন কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা বলতে পারব না, সেটা আমার জানা নাই। আপনি যে কথা বলতাছেন, সে তথ্য আমার কাছে নাই।’