অভিবাসনে ধীরগতি, বেনাপোলে ১০ হাজার যাত্রীর অপেক্ষা
ঈদের তৃতীয় দিনে ভারতে যাওয়ার পথে ১০ হাজার বাংলাদেশি যাত্রী আটকা পড়েছে যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টের নো-ম্যান্সল্যান্ডে। যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুই দেশের অভিবাসন ও শুল্ক কর্মকর্তাদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভিবাসন পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের অভিবাসন ব্যবস্থার ধীরগতির কারণে এ সমস্যা হচ্ছে।
আজ বুধবার বেনাপোল চেকপোস্টে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে রোগী, বৃদ্ধসহ অন্য যাত্রীরা। এদের কেউ চিকিৎসা করাতে ভারতে যাচ্ছে। কেউ বা বেড়াতে যাচ্ছে নাড়ির টানে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।
বাংলাদেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটির শুরু থেকেই প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পুলিশ দ্রুত এসব যাত্রীর পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেও ভারতীয় পুলিশের ধীরগতির কারণে যাত্রীদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভারতে প্রবেশের জন্য।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ জানান, ঈদের ছুটির শুরু থেকেই বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার বাংলাদেশি যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। তবে আজ তৃতীয় দিনে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট থেকে দশ হাজার। অতিরিক্ত যাত্রীদের সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের ধীরগতির কারণে সকালে আসা যাত্রীদের বিকেল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।