গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার বিদায় হবে : খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরিয়ে আনা হবে।’ পুলিশের হাত এখন আইনের চেয়েও লম্বা- এমন মন্তব্য করে তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘গুমের পর ক্রসফায়ার ও জেলের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করছে পুলিশ।’
urgentPhoto
আজ রোববার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে লেডিস ক্লাবে আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ওই ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আগে শুনতাম আইনের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু এখন পুলিশের হাত আরো লম্বা হয়েছে। পুলিশ দাবি করে, আন্দোলন আমরা দমন করেছি। বোমা মেরে গাড়ি জ্বালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেলে পুরে। সে পুলিশের কাছ থেকে ন্যায়বিচার আপনি কি করে আশা করেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘৩০ লাখ লোক শহীদ হলো, জীবন দিল, স্বাধীনতা নিয়ে আসল। সে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র আজ অর্থহীন হয়ে গেছে। সব দলীয় লোকজন বসানো হয়েছে। তাই বিচারকরা আজকে বিরোধীদলসহ সাধারণ মানুষকে ন্যায় বিচার দিতে পারেন না, সুবিচার দিতে পারেন না। আর আওয়ামী লীগের লোকেরা অপরাধ করলেও তাদের কোনো বিচার নেই।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই জালেমদের অতিদ্রুত বিদায় করে জনগণের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ স্বৈরাচার বিদায় হবে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশে শান্তি ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশের সুনাম এবং মানসম্মান ফিরে আসবে। চোর-দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন নির্বাসিত, অনুপস্থিত আইনের শাসন, পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। গুম-খুন আর নারী নির্যাতন আর চাঁদাবাজি এখন নিয়মিত ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি আরো বলেন, ‘রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অথচ সরকারের কোনো নজর নেই।’
সবক্ষেত্রে দলীয়করণ চলছে- অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যোগ্যতা নয় চাকরির মাপকাঠি এখন দলীয় পরিচয়।’
আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ ড্যাব নেতারা।
ইফতারে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টিবোর্ডের প্রধান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খানসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।