৩ মামলায় বিএনপি নেতা টুকু কারাগারে, বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টুকু তিনটি মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। জামিনের শুনানি শেষে বিচারক জাফরুল হাসান জামিন নামঞ্জুর করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান এবং টুকুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বাবু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম।
ইকবাল হাসান মাহমুদকে কারাগারের পাঠানোর আদেশ দিলে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেন। এ সময় আদালত চত্বরে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে টুকুকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে হরতাল আহ্বান করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন ও প্রচার সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান। পরে হরতাল প্রত্যাহার করে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মামলার নথি ও আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল নেতা নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়িতে ছাত্র গণজমায়েতের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
সমাবেশ চলাকালে দ্রুতগতির একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ছয় কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা ট্রেনে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম হায়দার, সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কে এম সাইফুল ইসলাম, র্যাব ১২-এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবু বকর সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আছলাম আলী, দিনাজপুরের পার্বতীপুর জিআরপি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম তৌহিদ ও সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার এএসআই কাজী সাইদুর রহমান বাদী হয়ে সাতটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।