এভরিথিং ইজ ওপেন, নাথিং সিক্রেট : কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় খোলামেলা (ওপেন) চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক হবে, তাতে গোপন (সিক্রেট) কোনোকিছু থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সকালে নিজ জেলা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ অমরপুরে কামরুন নাহার (শিউলি একরাম) প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা উচ্ছ বিদ্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বার্থেই চুক্তি হবে প্রকাশ্যে। বাংলাদেশের স্বার্থে সমঝোতা স্মারক হবে প্রকাশ্যে। নাথিং ইজ সিক্রেট, এভরিথিং উইল বি ওপেন। সবকিছু হবে খোলামেলা, নো সিক্রেসি, নো প্রাইভেসি। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা হবে, চুক্তি হবে। সেটা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে হবে।
এরপর ওবায়দুল কাদের সামনে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এটা আপনারা বিশ্বাস করেন?’ জনতার মধ্য থেকে প্রতিউত্তর আসে, হ্যাঁ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রশাসক ডা. এ বি এম জাফর উল্লা, কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. বাদল প্রমুখ।
এর আগে ওবায়দুল কাদের চাপরাশির হাট কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া দুপুরে তিনি বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজসহ আরো কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন।
‘তিস্তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণ নেই’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন করেছেন, স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি করেছেন, শেখ হাসিনা তিস্তা চুক্তিও করবেন। তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ৪১ বছর লেগেছে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নে। এত দিন লাগবে না। তিস্তা চুক্তি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, নিয়ম-কানুন সম্পন্ন করে সময়মতো গঙ্গা চুক্তির মতো তিস্তা চুক্তিও হয়ে যাবে। এ নিয়ে কারো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার কারণ নেই।’
প্রদানমন্ত্রী এপ্রিল যাচ্ছেন, তখন যদি না হয়, তারপর যেকোনো সময় হতে পারে। ভারত আর বাংলাদেশ তো দূরের দেশ নয়। যখন চূড়ান্ত হয়ে যাবে তখন চুক্তিও সই হয়ে যাবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, ‘ঠিক আছে?’ জনতা প্রতিউত্তরে বলেন, ‘ঠিক আছে।’
‘এ নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা যারা করছে তারা তো নিজেরা কিছু করতে পারেনি। এখন নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) পদে পদে বাধা দিচ্ছে’, যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আজকে সরকারের উন্নয়ন-অর্জনে বিরোধীদল (বিএনপি) দিশেহারা। তারা এখন হিংসার আগুনে জ্বলছে। আন্দোলন-সংগ্রামে না পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে সরকার হটানোর চেষ্টা করছে।’
‘আরে বঙ্গবন্ধু যদি গোলামি চুক্তি (যেটা তারা বলে) করতেন, তাহলে ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরাই ক্ষমতায় থাকতাম। বঙ্গবন্ধুকন্যাও বঙ্গবন্ধুর মতো মাথা নোয়াবার লোক নন। যত ষড়যন্ত্র হোক, বাংলাদেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা কারো কাছে কখনো কারো কাছে মাথা নত করবেন না’, যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।