পুলিশকে বাধা, চবির ৫ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাসহ মোট সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ সজল, সহসম্পাদক দেলোয়ার, সদস্য পিয়াল, রাকিব ও ওসমান। তাদের গতকাল রোববার বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমানের বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাসহ মোট ১০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন আজিজুর রহমানের ছেলে ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রকিব হোসাইন মুক্তা, রেজাউল করিম রুবেল, রিয়াজ মাহমুদ হীরা, আজিজুরের শ্যালক আফজাল হোসেন ও প্রতিবেশী নুর ইসলাম। আফজাল ও নুর ইসলামকে আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলার বাকি তিন আসামি আজিজুরের তিন ছেলে পলাতক রয়েছেন।
আজ সোমবার মামলার সাত আসামিকে রাঙামাটি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক কাজী মো. মোহসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক (এসএম) আজিজুল হক বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ির পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমানের বাড়ির সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা রয়েছে। ১০ আসামির মধ্যে আদালতে সাতজনকে হাজির করা হলে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।’
গতকাল রোববার পাঁচ নেতার আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে চবি ছাত্রলীগের সংঠনের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট ও শাটল ট্রেন বন্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
চবি ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ গতকাল দাবি করেছিলেন, ‘সাজেকে ঘুরতে গিয়ে বাঘাইছড়িতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য রকিব হোসাইনের বাড়িতে বেড়াতে যান তাঁরা। সেখানে সকালের নাশতা শেষে তাঁরা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় ওসি আবুল কালামের সঙ্গে তাঁদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ওসি সেখান থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর রকিবের পুরো বাসা ঘেরাও করে পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যায় ওসি। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনাই সেখানে ঘটেনি।’
গত শনিবার নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিন হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাফর আলী খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান। তৃতীয় হয়েছিলেন ধানের শীষের প্রার্থী ওমর আলী।