পদ্মায় দুর্নীতির অভিযোগকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিত
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে যারা অপপ্রচার চালিয়েছিল জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা মনে করেন, সেটি যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তা আজ প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার কানাডার অন্টারিও প্রদেশের একটি আদালতের বিচারক ইয়ান নর্ডহেইমার দেশটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিন গ্রুপের তিন কর্মকর্তাকে পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, কানাডিয়ান আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত দুর্নীতির যে অভিযোগ তা কল্পিত, বানোয়াট। ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অপচেষ্টা হয়েছিল। এই অপপ্রচারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থার অর্থায়ন যাদের কারণে বাতিল হয়েছে, তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
‘গরিবের রক্তচোষা একজন মহৎ ব্যক্তির জিঘাংসা চরিতার্থ করতে যারা দেশের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করেছেন এখন তাঁরা এ ব্যাপারে কী বলতে চান, সেই কথাই শুনতে’ চান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
দলের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে তা প্রমাণ করেছে যে, পদ্মা সেতু দুনীর্তি নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে তথ্য-সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে দুর্নীতির নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। যারা দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আনতে চায়, তারাই এই অপপ্রচার চালিয়েছিল- এটা আবারও প্রমাণিত হলো।’
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র ছিল। পদ্মা সেতু যেন না হয় সেজন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পদ্মায় কোনো দুর্নীতি হয়নি, সে কথা আজ প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের উচিত এ ধরনের কোনো অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে বক্তব্য দেওয়া।’