ছাত্রলীগের দুই নেতার রিমান্ড শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি
ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে গুলিস্তানে ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদকালে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এরই মধ্যে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এ দিন নির্ধারণ করেন। আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান।
এর আগে ছাত্রলীগের দুই নেতা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল রহমান এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
জিআরও জানান, আসামিদের আজ বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শুনানির জন্য তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে। ওই দিন তাঁদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হবে।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দুজনের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ শাহাবাগ থানায় পাঠানো হয়। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘দুই আসামি আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসে। আর এতে অনেক সমালোচনা হয়। আসামিদের অস্ত্র দেখানোর দৃশ্যও পত্রিকায় আসে। এ আসামিরা অস্ত্র কোথা থেকে পেলেন এবং অস্ত্রগুলো বৈধ কি না, তা যাচাই-বাছাই করতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ছাত্রলীগের এই দুই নেতা অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট এলাকার ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগের তৎকালীন দুই নেতা অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। গুলি ছোড়ার ঘটনা প্রকাশের পর সংগঠন থেকে এঁদের বহিষ্কার করা হয়।