অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে জেলা প্রশাসন-এমপি মুখোমুখি
পাবনায় শেখ রাসেল শিশুপার্কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে জেলা প্রশাসন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসন শহরের শেখ রাসেল শিশুপার্কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল কুমার সাহার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে গ্যাস দিয়ে লোহার স্থাপনা কাটার সময় আগুন ধরে যায়। এতে পার্কে থাকা ও এর আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ খবর পেয়ে পাবনা সদর আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেন।
সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, শেখ রাসেল পার্কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে জেলা প্রশাসন সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য।
সংসদ সদস্য আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে পাবনার মানুষ জেলা পরিষদের মাধ্যমে শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ করেন। এটিই এখানকার শিশুদের একমাত্র বিনোদনের জায়গা। তাই এই প্রতিষ্ঠানের কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ মানুষ মেনে নেবে না।
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো বলেন, আবদুল কাদের জিলানী নামের এক ব্যক্তি শেখ রাসেল শিশুপার্ক ইজারা নিয়ে ব্যবসা করতেন। তিনি ইজারার নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি পার্কসংলগ্ন স্থানে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সংসদ সদস্যের সম্মানে অভিযান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আইন তার নিজের গতিতে চলবে।