‘১০ টাকা লাভ করলে শাস্তি’
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে অস্বাভাবিক গতিতে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে এমনটি হয় উল্লেখ করে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, সমন্বিত বাজার মনিটরিংসহ সংশ্লিষ্ট আইনের কঠোর প্রয়োগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন রিয়াজউদ্দিন বাজার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। সেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দামে পণ্য বেচাকেনার মতো অনিয়মের কথা জানান তিনি। সভা থেকে রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য ক্রেতাসাধারণের অসংযত কেনাকাটা পরিহারসহ সমন্বিত বাজার মনিটরিং সেল গঠনের পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।
চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘হোলসেল মার্কেট, পাইকারি মার্কেট এবং রিটেইল মার্কেট। এই জায়গাটাতে আমরা দেখি যে ১০ টাকা অনেক সময় ডিফারেন্স হয়। তিন টাকা আপনারা লাভ করেন। কিন্তু ১০ টাকা কোথাও যদি পাওয়া যায় সেটাকে আমি জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব সেখানে আপনি কঠোর শান্তি দেবেন।’
সভায় ভোক্তা প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বিদেশে আমদানি পণ্যের মূল্য বাড়ার খবরের সাথে সাথে দেশীয় ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ বিদেশে এ ধরনের পণ্যের দাম কমে গেলেও দেশে তার প্রভাব পড়ে না। এ অবস্থায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী আইনের তোয়াক্কাও করেন না বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।
এ সময় ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ‘রমজান এখনো আসে নাই। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটা আইটেমের দাম বেড়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে কোনো আইনেরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।’
মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, ভোগ্যপণ্যের সিংহ ভাগ আমদানি হয় চট্টগ্রামের মাধ্যমে। এ কারণে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানিকারকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি রমজানে বাজার পরিস্থিতি নজরদারিতে সিটি করেপারেশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জানান সিটি মেয়র।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।