লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ সভাপতিকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি কারাগারে
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সল আহমেদ রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলায় উচ্চ আদালত রতনকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। মেয়াদ শেষ হলে তিনি লক্ষ্মীপুর জজ ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এতে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
আসামি রতন কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ২১ জুন দুপুরে প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু গাড়িবহর নিয়ে সাংগঠনিক কাজে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারে যাচ্ছিলেন। পথে তোরাবগঞ্জ বাজার পৌঁছালে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। এতে পিংকু গাড়ি থেকে নামতেই হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। তিনি সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। তার প্রাডো গাড়ির চারপাশ ভাঙচুরে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলায় পিংকুসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় রতনকে প্রধান ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা পিংকুর গাড়িচালক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলাটি করেন। এরপর থেকেই রতন ও বাপ্পী পলাতক ছিলেন। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন।
ঘটনার পর ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, ‘হামলার সময় আমি ঘটনাস্থল ছিলাম না। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাও জানি না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে।’