‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা পোকামাকড়মুক্ত করতে হবে না’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে বছরে সাড়ে সাত লাখ বেল (১৮২ কেজিতে এক বেল) কাঁচা তুলা আমদানি হয়। এসব তুলা আমদানির আগে দেশটিতে ফিউমিগেশন বা পোকামাকড়মুক্তকরণ করা হতো। দেশে আসার পর সেগুলো আবার ফিউমিগেশন করা হতো। দুবার পরীক্ষা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশের ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। এবার দুবার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিল সরকার।
আজ রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকেদর এসব তথ্য জানান কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
কৃষি সচিব বলেন, ‘এতদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে পৌঁছানোর পর পোকামাকড়মুক্ত করে বন্দর থেকে খালাসের ছাড়পত্র নিতে হতো। যুক্তরাষ্ট্র তুলা রপ্তানির আগে সেদেশে পোকামাকড়মুক্ত করে। সেটি দেশেও আরেকবার ফিউমিগেশন করা হতো। তবে, এখন থেকে দেশে আর ফিউমিগেশন করতে হবে না।’
ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘দুবার পরীক্ষা বা ডাবল ফিউমেগেশন বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে কাঁচা তুলা পোকামাকড়মুক্ত করার পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কাঁচা তুলায় ক্ষতিকর ‘কটন উইভিল’ পোকা থাকায় সেসব দেশ থেকে কাঁচা তুলা আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পৌঁছার পর পোকামাকড়মুক্ত করার বাধ্যবাধকতা ছিল। ইউরোপ, আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা নেই। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচা তুলা আমদানির ক্ষেত্রেও এটির প্রয়োজন হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ-জীবাণুমুক্ত সনদপত্র থাকলেই চলবে।
তবে, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলার ক্ষেত্রে আগের মতোই ফিউমিগেশন করার বাধ্যবাধকতা বহাল রয়েছে। এ ছাড়া, একই কন্টেইনারে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলা শিপমেন্ট হলে, যুক্তরাষ্ট্রের তুলাকেও বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশন করতে হবে।