মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি জাতীয় সংসদকে বার বার কলুষিত করেছিল। যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উঠিয়ে দিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তবু আমি আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।  

জাতীয় সংসদে আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শাজাহান খান এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশ নেন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আপনারা অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুন। অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

শাজাহান খান বলেন, বিএনপি বর্তমানে বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস করে। শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে-কুপিয়ে মারে। তারা এভাবে শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি।

শাজাহান খান আরও বলেন, এ জাতীয় সংসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া, তার স্মৃতি ধন্য। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল তাদের এই সংসদে এনে বসিয়েছিলেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এই সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র ও কলুষিত করেছিল।

শাজাহান খান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন অপ্রতিরোধ্য মহামানব, তিনি সাচ্চা দেশপ্রেমিক, বাঙালি জাতির হৃদপিণ্ড। তিনি অকুতোভয় সৈনিক, তিনি দানবীর, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। বঙ্গবন্ধু যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই হতেন বিশ্বের অবহেলিত, মেহনতি মানবতার মূর্ত প্রতীক। যা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও বলেছিলেন।