যে কারণে বিধ্বস্ত হলো এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ২৪২ জন আরোহী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এতে প্রাণ হারান ২৪১ জন। কী কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা এ নিয়ে চলছে নানা পর্যালোচনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরেছে। যদিও গণমাধ্যমটি বলছে, দুর্ঘটনার কারণ কী হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু তত্ত্ব পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-
এক. সিঙ্গেল ইঞ্জিন ত্রুটি, ল্যান্ডিং গিয়ার না তোলা
উড্ডয়নের পরপরই সিঙ্গেল ইঞ্জিন ত্রুটি হয় অথবা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। এতে দুজন পাইলট ইঞ্জিনের দিকে মনযোগী হয়ে পড়েন এবং ভুলবসত তারা হয়তো ল্যান্ডিং গিয়ার আর টেনে তোলেননি। এই ল্যান্ডিং গিয়ারই বিমানের ভার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
দুই. ডুয়েল ইঞ্জিন ত্রুটি
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানের দুটি ইঞ্জিনেই ত্রুটি দেখা দেয়। দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়ে। যদিও এমনটি হওয়া খুবই বিরল। দুটি ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে বিমানটি কোনও ধাক্কা ছাড়াই ভারী গ্লাইডারের মতো হয়ে যায়। ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে আর ল্যান্ডিং গিয়ার টেনে তোলা যায়নি। এতে বিমানের গতি কমে যায়।
তিন. ফ্ল্যাপগুলোর ভুল অবস্থান
বিমান বিধ্বস্তের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টেকঅফের সময় ফ্ল্যাপগুলো টেনে তোলা অবস্থায় ছিল। যেখানে কম গতিতে আরও লিফট পাওয়ার জন্য টেকঅফের সময় ফ্ল্যাপগুলো সর্বদা খোলা রাখা হয়। যদি কোনও কারণে পাইলট ইঞ্জিন ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাপগুলো বন্ধ করে দেন, তবে এটি লিফট হ্রাস করে এবং বিমানটি উচ্চতা হারায়।
চার. ইঞ্জিনের ত্রুটি এবং ফাংশনাল ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া
বিমান চলাচলের ইতিহাসে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়েছিল কিন্তু চাপের কারণে পাইলটরা ভুল করে অন্য সচল ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যখন এটি ঘটে, তখন থ্রাস্ট সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যায় এবং ৪০০ ফুট উচ্চতায় এটি থেকে পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।