ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পরপরই রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু এই আইনে স্বাক্ষর করেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অনুমোদন ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংসতা ও গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মালদ্বীপ ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবির প্রতি তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর দপ্তরের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এক হাজার ১৯২টি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত ছোট ইসলামিক প্রজাতন্ত্র মালদ্বীপ। নির্জন সাদা বালির সৈকত, অগভীর ফিরোজা লেগুন এবং রবিনসন ক্রুসো-শৈলীর অবকাশ যাপনের জন্য বিখ্যাত।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই লাখ ১৪ হাজার বিদেশি পর্যটকের মধ্যে মাত্র ৫৯ জন ইসরায়েলি পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছিলেন।

মালদ্বীপ ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর থেকে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল এবং ২০১০ সালে স্বল্প সময়ের জন্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়।

মালদ্বীপের বিরোধী দল এবং সরকারি মিত্ররা গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা স্বরূপ ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মুইজ্জুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।

এর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর তাদের নাগরিকদের মালদ্বীপে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানায়।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে এক হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মৃতের সংখ্যা মোট ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।