যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলের হামলা
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও লেবাননের অন্তত ছয়টি জায়গায় ইসরায়েল হামলা করেছে। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে হিজবুল্লা ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গৃহহীন মানুষ ফের ঘরে ফিরতে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যেই ইসরায়েলের হামলা চুক্তির লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে লেবানন। ইসরায়েলের সেনারা গুলিবর্ষণ ও রকেট হামলা করেছে বলে অভিযোগ দেশটির। এ ছাড়া গাজাতেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে তারা গুলি চালিয়েছে ও রকেট ছুড়েছে, কারণ সেখানে সন্দেহভাজনদের দেখা গিয়েছিল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছিল। লেবাননের সেনারা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লা এবং ইসরায়েলের যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েলের সেনাকে লেবানন ছেড়ে চলে যেতে হবে। লেবাননের সেনারা হিজবুল্লা অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে মোতায়েন থাকবে। কোনোপক্ষই অন্যপক্ষের ওপর আক্রমণ চালাবে না।
গাজায় আক্রমণ
গাজার মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার লাগাতার আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। একের পর এক বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউসিরাট উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বহু মানুষ সেখানে আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ গাজার একাধিক জায়গায় বৃহস্পতিবার আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। তারা ঠিক মতো খাবার পর্যন্ত পাচ্ছেন না। তারই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে তারা বলেছেন, লেবাননের মতো গাজাতেও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার একাধিক জায়গায় প্রবল খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। তাদের কাছে ওষুধও পৌঁছাচ্ছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের একাধিক জায়গা এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সেখানে জাতিসংঘের ত্রাণও পৌঁছাচ্ছে না। ওই অঞ্চলে ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার মানুষ আটকে আছেন। প্রবল খাদ্য সংকটে ভুগছেন তারা। জাতিসংঘের দাবি, গত কয়েক মাসে সেখানে তারা ৯১ বার যাওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ৮২ বার তাদের আটকে দিয়েছে ইসরায়েলের সেনা।