ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সেবিকার আত্মহত্যা!
সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সৈন্যদের হাতে ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে এক সিরীয় নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মহত্যা করা নারী পেশায় ছিলেন একজন সেবিকা (নার্স)। তাঁর লিখে যাওয়া শেষ চিঠিতে এ কথা উল্লেখ আছে বলে খবরে বলা হয়েছে।
দেশটির ধর্মীয় নেতা ও সিরিয়ার বিরোধীপক্ষকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে নিহত ওই নার্স লিখেছেন, ‘পশুর মতো’ সিরীয় সৈন্যরা আসার আগেই তিনি নিজেই তাঁর জীবন দিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘কারণ আমি চাই না আসাদ সরকারের সৈন্যরা ধর্ষণ করে আমাকে নষ্ট করুক।’
আজ বুধবার সকালে যুদ্ধবিরতির ভেতর আলেপ্পো থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পরপরই এমন খবর প্রকাশিত হলো।
চিঠিতে ওই নারী আরো লিখেছেন, ‘আলেপ্পোর নারীদের মধ্যে আমিও একজন, যাকে হয়তো শিগগিরই ধর্ষণের শিকার হতে হবে। এই ঘটনার মধ্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো অস্ত্র নেই। পশুরা যাদের দেশের সেনাবাহিনী বলা হচ্ছে, তারা শিগগিরই চলে আসবে।’
ওই নারী আরো লিখেছেন, আলেপ্পোতে কেয়ামতের দিন চলে এসেছে এবং জাহান্নামের আগুনও এর চেয়ে খারাপ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
চিঠির সবশেষে ওই নারী লিখেছেন, ‘যখন আপনি এই চিঠিটি পড়ছেন তখন জানবেন যে আমি বিশুদ্ধ অবস্থায় মারা গেছি।’
‘ডেইলি বিস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্রোহীদের নেতা আবদুল্লাহ ওসমান দাবি করেন, একদিন সকালেই ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে ২০ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ বক্তব্য যাচাই করা যায়নি।