পেটানোর পর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা
কিশোরীর বয়স মাত্র ১৬ বছর। অভিযোগ উঠেছিল, এক ট্যাক্সিচালককে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছিল সে। এরপরই ‘ক্ষুব্ধ’ জনতা তাকে পাকড়াও করে। বেধড়ক পিটিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে। নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার রিও ব্রাভা শহরে।
গুয়াতেমালার স্থানীয় সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট টায়েমপোর বরাদ দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, জনতার হাতে নিহত কিশোরীটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য ছিল, যাঁরা কার্লোস এনরিক গঞ্জালেস নোরিগা (৬৮) নামক এক ট্যাক্সিচালকের হত্যার সঙ্গে জড়িত। ট্যাক্সি চালককে হত্যার পর পরই দলের সব সদস্য পালিয়ে গেলেও ওই কিশোরী জনতার হাতে ধরা পড়ে।
ধরার পর পরই তাকে পিটুনি দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, ওই সময় বয়স্ক নারী ও শিশুদেরও সামনেই ওই কিশোরীকে পিটিয়ে ও জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো কিশোরীর পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার পর পরই একটি একটি ভিডিওচিত্র গুয়াতেমালায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা হয় একদল লোক কিশোরীকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করছে। ক্ষুব্ধ জনতার হাতে প্রচণ্ড পিটুনির শিকার কিশোরীর গায়ে এক ব্যক্তি পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা কিশোরী একপর্যায়ে মারা যায়। এই ভিডিওচিত্রটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনা দেখা গেছে।
অপরাধী ধরার পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা গুয়াতেমালায় এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত মার্চে রিও ব্রাভোর নিকটবর্তী একটি গ্রামে গাড়ি চুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে ধরে স্থানীয় জনতা। অভিযুক্ত দুই চোরের একজনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে এবং অপরজনকে গাছে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা।
গুয়াতেমালার সবচেয়ে বড় সমস্যা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র ও পুলিশের দুর্নীতি। বিশ্বের ষষ্ঠ অপরাধপ্রবণ দেশটিতে হত্যার ঘটনায় শতকরা চার শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে বিচার পাওয়া যায়।