কুকুরের সঙ্গে সম্পর্ক, আদালতে অঝোরে কাঁদলেন সেই নারী
কারাগারে যেতে হবে শুনে আদালতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আলোচিত অস্ট্রেলিয়ান নারী। দেশটির কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের ব্রিসবেন শহরের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী জেনা লুইস ড্রিসকোকে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ‘মাদক বিক্রি’ ও ‘প্রাকৃতিক নিয়ম বহির্ভূত যৌনসম্পর্ক’-এর দায়ে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের বিচারক টেরি মার্টিন যখন জেনাকে তাঁর অপরাধের শাস্তির বিষয়ে ধারণা দেন তখন কান্নায় ভেঙ্ পড়েন জেনা। তিনি সব অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চান বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। এরপর বিচারক আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করে শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
অবশ্য কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা এর আগেও আদালতে স্বীকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওই নারী। চলতি বছরের আগস্টে জেনার বিরুদ্ধে তাঁর পোষা কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়। গত সপ্তাহে তিনি বিচারকের সামনে প্রথম এ অভিযোগগুলো স্বীকার করেন।
আদালতে জেনার পক্ষের আইনজীবী জেমস গডবোল্ট বলেন, জেনাকে প্রকাশ্যে লজ্জা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেনা তাঁর প্রেমিকের অনুরোধেই কুকুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
এ ছাড়া বিচারক টেরি মার্টিন উপস্থিতিতে জেনা আরো স্বীকার করেন, তিনি একজনের শরীরে কাঁটাচামচ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন এবং এক শিশুকে কামড় দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি মাদকদ্রব্য চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত।
২০১৪ সালে মাদক চোরাচালান বিষয়ে অনুসন্ধান চালানোর সময় জেনার মোবাইল ফোনে তিনটি আপত্তিকর ভিডিও পায় পুলিশ। এরপর বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তির জন্য তোলা হয়।
সে সময় আদালতের এক শুনানিতে একটি ছবি উপস্থাপন করা হয়। ছবিটিতে দেখা যায়, জেনা একজন অপরিচিত ব্যক্তি এবং একটি পোষা কুকুরের সঙ্গে বাড়িতে ঢুকছেন।
স্থানীয়রা জানান, জেনা ওই ব্যক্তি আর কুকুরটির সঙ্গে খুব অল্প সময় বাড়িতে ছিলেন। পরে তাঁরা একটি গাড়িতে করে ওই জায়গা ছেড়ে চলে যান।