প্রথমে জোর করে নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করেছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এখন সেই সংগঠনটিই ইরাকের উত্তরাঞ্চলের শহর মসুলে তাদের নিরাপত্তাকেন্দ্রে নারীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে।

মসুলের আইএসের নিরাপত্তা কেন্দ্রের ভবনে মুখ ঢাকা বোরকা পরে কোনো নারী প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে বোরকা পরিহিত কয়েক হামলাকারীর হাতে কয়েকজন আইএস যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।

গত শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের ওয়েবসাইট ইরান ফ্রন্ট পেজ।

অথচ এর আগে সিরিয়া ও ইরাকে শরীর ও মুখ আবৃত করে বোরকা না পরার অপরাধে বহু নারীকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি এই অপরাধে নারীদের হত্যাও করেছেন আইএসের নৈতিক পুলিশ শাখার সদস্যরা।

মসুলে নিরাপত্তাকেন্দ্রের আশপাশ ছাড়া আইএস নিয়ন্ত্রিত অন্য সব এলাকায় নারীদের আগের মতোই কঠোরভাবে শরীর ও মুখ আবৃত পোশাক পরতে বলা হয়েছে।

গত মাসে সিরিয়ার মানবিজ শহর জয়ের আনন্দে কিছু নারী বোরকা পুড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। পরে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে এক নারীকে বোরকা খুলে মুখ প্রদর্শন করতে দেখা যায়, যা আইএস একেবারেই নিষিদ্ধ করেছিল। এ ছাড়া একটি বোরকা পোড়ানোর পাশে নাচতে দেখা যায় কিছু নারী ও শিশুকে।

আইএস যোদ্ধাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর মানবিজ শহরে ফিরে যান সেখানকার পুরোনো বাসিন্দারা। পরে সেখানেই আনন্দ উৎসব করেন তাঁরা। ২০১৪ সালে মানবিজ দখল করে নিয়েছিল আইএস। সেই থেকে শহরটিতে ভীষণ কড়াকড়ি আরোপ হয়। ফলে আইএসের দখলমুক্ত হয়ে নিজেদের স্বাধীন আর মুক্ত ভাবতে শুরু করেন এর বাসিন্দারা। এসব ছবি সেই আনন্দেরই বহিঃপ্রকাশ।

আইএসের হাত থেকে মুক্ত আলেপ্পোর আবু কালবাল শহরেও একই রকমের উল্লাসের চিত্র দেখা যায়।