নির্জন দ্বীপ থেকে হারিয়ে যাওয়া দম্পতি উদ্ধার
সমুদ্রে পথ ভুল করে ছোট এক দ্বীপে পৌঁছে যায় এক পৌঢ় দম্পতি। নির্জন দ্বীপটি জনমানবশূন্য। আর ওই দম্পতি কাছে নেই পর্যাপ্ত খাবার। উদ্ধারের একমাত্র উপায় বাইরের সাহায্য। উদ্ধার পাওয়ার আশায় ছোট দ্বীপের সৈকতে লিখছেন সাহায্যের সংকেত (এসওএস)। আর ওই বার্তার কারণেই সাতদিনের মাথায় উদ্ধার পান তাঁরা।
সম্প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসি জানায়, লিনাস এবং সাবিনা জ্যাক উভয়েরই বয়স ৫০-এর কোঠায়। তাঁরা নির্জন দ্বীপে ছিলেন এক সপ্তাহের বেশি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, গত ১৭ আগস্ট সাড়ে পাঁচ মিটার দীর্ঘ নৌকায় মাইক্রোনেশিয়ার ওয়েনডো দ্বীপ থেকে যাত্রা করে জ্যাক দম্পতি। পরের দিনই নিকটবর্তী টামাটাম দ্বীপে পৌঁছানোর কথা ছিল তাদের। তবে পথ ভুল করে জ্যাক দম্পতি জনশূন্য ইস্ট ফেয়ু দ্বীপে পৌঁছায়।
এদিকে লিনাস ও সাবিনার খোঁজে ১৬ হাজার ৫৭১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। উদ্ধারে অংশ নেয় ১৪টি জাহাজ, দুটি প্লেন এবং ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া পুলিশের একটি লঞ্চ।
গত ২৪ আগস্ট একটি জাহাজ জনশূন্য ইস্ট ফেয়ু দ্বীপে আলো দেখতে পায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ওই দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। বিমান থেকে তোলা ছবিতে সৈকতের বালুতে জ্যাক দম্পতির লেখা এসওএস এবং গাছের বাকলের তৈরি কুঁড়ের ধরা পড়ে। পরে ২৬ আগস্ট একটি টহল নৌকা পাঠিয়ে লিনাস ও সাবিনাকে উদ্ধার করা হয়।
বিবিসি জানায়, এর আগে চলতি বছরেরই এমনই প্রায় একই রকম উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। ওই সময় জনশূন্য একটি দ্বীপ থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। নৌকাডুবির পর দ্বীপে আশ্রয় নেওয়া ওই ব্যক্তিরা তালগাছের পাতা দিয়ে ইংরেজি ‘হেল্প’ শব্দটি লেখেন। ওই শব্দ দেখেই নিখোঁজের তিনদিন পর তাঁদের উদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
ইনডিপেনডেন্ট জানায়, হাওয়াই দ্বীপের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পাপুয়া নিউগিনির উত্তরে অবস্থি ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া। ৬০৭টি ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপরাষ্ট্র।